August 21, 2025

মসির ধারায় অসির ধার (২৪)

সঞ্জীব মুখার্জী 

 

“To find us, you must be watchful.  To catch us, you must be fast.  And to defeat us….you must be kidding.”

 General K Sundarji

পাঞ্জাবের উদ্দেশ্যে করজোড়ে নমস্কার করে, ২৮শে জুলাই ১৯৯৪ তারিখে, মিলিটারী স্পেশাল ট্রেনটি আমাদের সমগ্র ব্যাটালিয়নের সৈনিকদের এবং সমস্ত লটবহর নিয়ে সিকিম অভিমুখে রওনা দিলো। ভর-গ্রীষ্মকাল, চারিদিকে তখন হু হু করে গরম হাওয়া বইছে, সূর্যদেব ও আমাদের মাথার উপর অগ্নিবর্ষণ করতে এতটুকু কার্পণ্য বোধ করছেন না। আর তারই মধ্যে ছুটে চলেছে আমাদের মিলিটারী স্পেশাল ট্রেনটি। কখনো দ্রুতগতিতে, কখনো মন্দগতিতে আবার কখনো শ্লথ গতিতে। নিয়মানুযায়ী মিলিটারী স্পেশাল ট্রেনটি বিভিন্ন ধরণের বহন ক্ষমতাসম্পন্ন বগীর সংমিশ্রনে যথা এসি টু এবং থ্রী টিয়ার, নন এসি কোচ, মালগাড়ীর কভার্ড ওয়াগন, ওপেন ওয়াগন, ফ্লাট ওয়াগন, রেফ্রিজারেটেড ভ্যান, গার্ডের ব্রেক ভ্যান, ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে মিশিয়ে রচিত। ট্রেনটি যাত্রা শুরু করার পূর্বে আমাদের ব্যাটালিয়নের সমস্ত সৈনিকদের কয়েকটি ছোট ছোট বিভাগে বিভক্ত করে দেওয়া হয় এবং সেই সঙ্গে সেই বিভাগগুলিকে দেওয়া হয় কিছু বিভাগীয় দায়িত্ব, যেমন কারোর দ্বায়িত্বে রেশন, কারোর দ্বায়িত্বে রান্না-বান্না দেখাশোনা করে খাদ্য সামগ্রী সুনিশ্চিত করা, কারোর দ্বায়িত্বে গোলাবারুদ, আবার কারোর দ্বায়িত্বে মালপত্র লোডিং আনলোডিং ইত্যাদি। আর এসবের উপরে, স্পেশাল ট্রেনটির শুরুর স্টেশন ছাড়া থেকে গন্তব্য স্টেশন পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যাত্রাটিকে পরিচালনা করার একটি গুরু দায়ীত্বভার দিয়ে আমাদের ব্যাটালিয়নের একজন উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিক যিনি একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাঁকে নিযুক্ত করা হয় এবং তাঁকে বলা হয় “ট্রেন মার্শালিং অফিসার”। যে কোনো ব্যাটালিয়নের ক্ষেত্রেই একজায়গা থেকে অনত্র স্থায়ী পোস্টিং-এ যাত্রার জন্য মিলিটারী স্পেশাল ট্রেনের এটাই নিয়ম। চলতি ট্রেনে যা কিছু হবে অর্থাৎ কোথায় ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ অথবা ডিনারের জন্য দাঁড়াবে অথবা অন্য কোনো কারণে ট্রেনটি দাঁড়াবে তা ট্রেনের ড্রাইভার, গার্ড এবং ট্রেন মার্শালিং অফিসারের সম্মিলিত সমন্বয়ে হবে। ট্রেনটিতে কে কোথায় বসবে, কোন বগীটিকে কুক হাউস হিসাবে ব্যবহার করা হবে, কোন বগীটিকে রেশন স্টোর হিসাবে ব্যবহার করা হবে এবং কোন বগীটিকে গোলাবারুদ ভান্ডার হিসাবে ব্যবহার করা হবে তার সবকিছুই ঠিক করেন ওই ট্রেন মার্শালিং অফিসার। এছাড়া মিলিটারী স্পেশাল ট্রেনটি  চলাকালীন ট্রেনের নিয়মানুবর্তিতা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার সুনিশ্চিত করাটাও হলো ট্রেন মার্শালিং অফিসারের একটি প্রধান দায়িত্ব এবং কর্তব্য। অনুরূপভাবে ট্রেন চলাকালীন ট্রেন মার্শালিং অফিসারের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার দায়ীত্ব ব্যাটালিয়নের প্রতিটি সৈনিকের। তাই ট্রেন মার্শালিং অফিসারের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা যে যার নির্দিষ্ট কোচে আসন গ্রহণ করলাম। লক্ষ্য একটাই, ব্যাটালিয়নের যাত্রাকালীন পরিস্থিতি যেন সবদিক থেকে নির্বিঘ্নে এবং সুচারু রূপে সম্পন্ন হয় তারই জন্য এতো ব্যবস্থা।  আমি এসি কোচেই একটি বার্থ পেয়ে গিয়েছিলাম তাই চলতি ট্রেনে বিশেষ একটা অসুবিধা হয়নি আমার। ফাজিলকা থেকে ছাড়ার পর ট্রেনটি বেশ কয়েকটি বড় স্টেশনে দাঁড়ালো।  তারপর চলতে চলতে ট্রেনটি বেশ বড় স্টেশন দেখেই ট্রেন মার্শালিং অফিসারের সম্মতিতে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনারের জন্য হল্ট দেয়। ট্রেনের সম্পূর্ণ যাত্রাপথের জন্য আমাদের সঙ্গে ছিল পর্যাপ্ত ড্রাই রেশন যেমন চাল, ডাল, আটা, চিনি, নুন ইত্যাদি যেগুলি কখনো খারাপ হয়না। কিন্তু কাঁচা শাকসব্জী, মাছ, মাংস, ডিম্, দুধ ইত্যাদি রেশনের সরবরাহের জন্য মাঝপথে কিছু নির্ধারিত স্টেশনে ট্রেনটি লম্বা সময়ের হল্ট দিতো। ওই সমস্ত স্টেশনে প্রয়োজনীয় রেশন গুলি লোড হয়ে গেলে ট্রেনটি আবার চলা শুরু করতো। রাত্রি বেলায় কোনো বড় স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ালে ট্রেন থেকে উল্টো দিকে নেমে জলের পাইপ লাইন থেকে শীতল জলে স্নান সেরে করে ফেলতাম। ট্রেন চলাকালীন আমাদের কারোরই কাছে বিশেষ কোনো কাজ ছিল না তাই কাছে দাওয়া, ঘুমোনো আর গল্প করাটাই চলমান ট্রেনে সময় কাটানোর একটি প্রধান অবলম্বন ছিল। ট্রেনটি যাত্রাপথে পাঞ্জাব থেকে শুরু করে হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড তারপর আবার বিহার এবং শেষকালে ওয়েস্ট বেঙ্গলে প্রবেশ করলো। ট্রেনটি যখন আমার নিজের রাজ্যে প্রবেশ করলো তখন আমি একটু বিশেষ আনন্দেরই অনুভব করছিলাম। এইভাবে ট্রেনে চার পাঁচ দিন বেশ আনন্দ উপভোগের মধ্যে দিয়েই কেটে গেলো। দেখতে দেখতে ২রা আগস্ট ১৯৯৪ তারিখের সকালবেলায় মিলিটারী স্পেশাল ট্রেনটি আমাদের ব্যাটালিয়নকে নিয়ে পৌঁছে গেলো তার গন্তব্যে অর্থাৎ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে।

 

নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছনোর পর আমার মনের মধ্যে কিন্তু একটা অদ্ভুত এবং অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিলো আর সেটা হচ্ছিলো আমাদের হোম টাউনের খুব কাছাকাছি চলে আসার জন্য। আমাদের ব্যাটালিয়নের বাকি লোকেদের ক্ষেত্রে যেমন উল্টোটাই হচ্ছিলো।  কেননা তাঁরা সবাই হয় হরিয়ানার নয় রাজস্থানের, কিছু লোক আবার পাঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশের, তাই নিউ জলপাইগুড়ি তাদের সকলের কাছে একটা দূরত্বের বিষয়বস্তু ছিল।  সেইসময় আমার ইচ্ছে করছিলো একলাফে বাড়ি চলে যেতে কিন্তু সেনা অনুশাসনের মধ্যে থেকে সে কাজ করা আমার পক্ষে কেন কারোর পক্ষেই সম্ভব ছিল না তাই আমি নিরুপায়।

নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে বিভাগীয় দায়িত্ব সম্পন্নদলগুলি যে যার আনলোডিংয়ের কাজে লেগে গেলো। আমাদের ট্রেনটি পৌঁছনোর আগে থেকেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের সংলগ্ন একটি কনভয় গ্রাউন্ডে প্রচুর মালবাহী এবং যাত্রীবাহী গাড়ি সারিবদ্ধ হয়ে অপেক্ষা করছিলো। ট্রেনের সমস্ত মালপত্র আনলোডিং করে সেই কনভয়ের গাড়িগুলিতে আবার লোডিং করতে পুরো একটা দিন লেগে গেলো। ট্রেনের আনলোডিং সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ভারতীয় রেল বিভাগের একজন উচ্চপদস্থ অধিকারীর নেতৃত্বাধীন তাঁর একটি দলকে ট্রেনটি অক্ষত অবস্থায় আবার তুলে দিয়ে তবে আমাদের ছুটি। আমাদের সমস্ত সেনা জওয়ানরা পূর্ব নির্ধারিত গাড়িতে যেমন যেমন বলা ছিল তেমন তেমন আবার লোডিং করে ফেললো। সব লোডিং হয়ে গেলে কনভয়টি আমাদের নিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন প্রাঙ্গন ছেড়ে শিলিগুড়ির সন্নিকটস্থ একটি জায়গা যার নাম “সেবক” সেখানে একটি ক্যাম্পের দিকে রওনা দিলো।  সেবকে যে জায়গাটিতে আমাদের শিবির ফেলা হলো সেটি ছিল একটি ঘন জঙ্গলের মধ্যে, চারিদিকে বিশাল বিশাল শাল আর সেগুন গাছের বন আর মাঝে মাঝে ঘন ঝোপঝাড়।  আর ক্যাম্পটি যে জায়গায় ছিল সেখানে ভীষণ জংলী হাতীর উপদ্রব ছিল, যেখানে সেখানে যখন তখন বিশেষ করে রাত্রিবেলায় জংলী হাতীর দল আচমকা এসে হানা দিয়ে সবকিছু তছনছ করে দিয়ে চলে যেত। পাশেই বনবিভাগের রেঞ্জ অফিস। আমাদের শিবিরের আশপাশে বেশ কয়েক জায়গায় বনবিভাগের “ওয়ার্নিং সাইন বোর্ড” লাগানো রয়েছে আর তাতে লেখা আছে “জংলী হাতী থেকে সাবধান”, “Danger, Beware Of Wild Elephant”, ইত্যাদি।  সেবকের জঙ্গলে আমাদের শিবির ফেলার পর বনবিভাগের কয়েকজন উর্দি পরা কর্মচারী আমাদের কাছে এসে আমাদের বিশেষ ভাবে মৌখিক ভাষায় সে ব্যাপারে সাবধানও করে দেন যে আমরা সবাই যেন হাতীর দলের থেকে সাবধানে থাকি এবং রাত্রিতে বিশেষ করে শিবির ছেড়ে জঙ্গলে বেশি ঘোরাঘুরি না করি। শুধু হাতীই নয়, সেই জঙ্গলে বাঘ, ভাল্লুক, চিতাবাঘ, ইত্যাদিও যেকোনো সময়ে যেকোনো স্থানে বেরিয়ে পড়তে পারে তাই তাদের উপস্থিতির ভয় সেখানে বিদ্যমান। এমনটাও জানা যায় যে পূর্বে নাকি অন্য কোনো এক ব্যাটালিয়নের স্টেজিং ক্যাম্প চলাকালীন তাদের সাথে এইরকম ঘটনা দু’একবার ঘটে গিয়েছে। আমাদের ব্যাটালিয়ন কিন্তু তার ব্যতিক্রম হতে পারেনি। হ্যাঁ, সেবকের ক্যাম্পে থাকাকালীন আমরাও একদিন জংলী হাতীর খপ্পরে পড়েছিলাম। সে ঘটনার কথা আমি আপনাদের পরে বলবো।

সেবকের শিবির টিকে মিলিটারী ভাষায় বলা হয় ‘স্টেজিং ক্যাম্প’।  আসলে ব্যাপারটা আপনাদের একটু খুলে বলি তাহলে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হবে।  সিকিমে ভারত-চীন সীমান্তে আমাদের যেখানে গন্তব্য স্থল অর্থাৎ “কুপুপ” হলো শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটারের দূরত্বে অবস্থিত আর সেটি হলো সমুদ্রতল থেকে অনেক অনেক উঁচুতে, প্রায় ১৬,০০০ ফুটেরও উপর।  সমতল এলাকায় যদিও তখন অর্থাৎ আগস্ট মাসে গ্রীষ্মের দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত হলেও “কুপুপ” এ তখন প্রচন্ড ঠান্ডা। বছরের নয়টি মাস অক্টোবর থেকে জুন মাস পর্যন্ত সেই এলাকাটি সম্পূর্ণ রূপে বরফে আবৃত থাকে আর সেই সময় মিলিটারীর বড় কনভয় খুব একটা মুভমেন্ট করেনা কেননা রাস্তা ঘাট সব বরফের তলায় তলিয়ে যায় তাই বড় গাড়ী চলাচল করলে তা ফেঁসে যাওয়ার ভয় থাকে। রাস্তাতে যদিও জায়গায় জায়গায় বুলডোজার অথবা বিভিন্ন ধরণের আর্থ মুভিং ইকুইপমেন্ট দিয়ে বরফ সরানোর কাজ চলতেই থাকে তবু অযথা বিপদের ঝুঁকি না নিয়ে মিলটারীর বড় কনভয় খুব একটা মুভ করেনা।  আর বাকি জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাস তিনটিতে বরফ একটু একটু করে সরে গেলেও ঠান্ডা থাকে প্রচন্ড আর তার সঙ্গে থাকে বৃষ্টিবহুল আবহাওয়া। তাই মিলিটারী কনভয়ের মুভমেন্ট এবং যাতায়াত যা কিছু হয় তা এই তিনটি মাসেই হয়। “কুপুপের” তাপমান প্রচন্ড ঠান্ডা আর বরফের একটু উপস্থিতি থাকার জন্য আমাদের কনভয় স্টেজিং ক্যাম্পের মাধ্যমে শিলিগুড়ি থেকে কুপুপ পর্যন্ত দুই তিন জায়গায় হল্ট করতে করতে যাবে আর একেই বলে স্টেজিং ক্যাম্প। একবারে সরাসরি সমতলের গরম আবহাওয়া থেকে কুপুপের মতো শীতলতম পর্বতাঞ্চলে পৌঁছে গেলে সকলের অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে তাই এই পদ্ধতি।

শিলিগুড়ি আর কুপুপের মধ্যে প্রথম স্টেজিং ক্যাম্প হলো “সেবক”, তারপর দ্বিতীয় স্টেজিং ক্যাম্প হলো “রংপো” আর “কুপুপ” এর ঠিক আগের স্টেজিং ক্যাম্প অর্থাৎ তৃতীয় স্টেজিং ক্যাম্পটি যে জায়গায় অবস্থিত সেটির নাম হলো “জুলুক”। জুলুককে বলা হয় স্টেজিং-কাম-এক্লিমেটাইজশন ক্যাম্প। সেটা ঠিক কি হয় তা আপনাদের আমি পরে বলবো। ঠিক ছিল স্টেজিংএর প্রক্রিয়ায় আমরা সেবকের ক্যাম্পে দুই থেকে তিন দিন থাকবো। কিন্তু হঠাৎ খবর এলো যে রাস্তা দিয়ে আমাদের কুপুপ যেতে হবে সেই রাস্তায় দু তিন জায়গায় পাহাড়ে বিশাল বিশাল ধস নেমেছে তাই রাস্তা পরিষ্কার করতে সময় লাগবে এবং সেই কারণে আমাদের সেবকের স্টেজিং ক্যাম্পে ৫-৬ দিন মতো থাকতে হবে। আমাদের ব্যাটালিয়ন স্টেজিং ক্যাম্পে স্টেজিংএর কার্য্যে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। দিনের বেলায় চারিদিকে জঙ্গলের শান্ত পরিবেশ আর রাত্রিতে মৃদুমন্দ হাওয়ায় এক মনোরম পরিবেশ, সবটা মিলিয়ে খুবই উপভোগ্যকর ছিল সেবকের স্টেজিং ক্যাম্পের জীবনযাত্রা। এইভাবে সেখানে দুটো দিন নির্বিঘ্নে, সুন্দর এবং শান্তিপ্রিয় ভাবে কেটে গেলো। কিন্তু কে জানতো স্টেজিং ক্যাম্পে তৃতীয় দিনের রাত্রির ভয়াল ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতা আমাদের জীবনে ঐরকম এক চরম বিপর্যয় টেনে আনবে, এক অভাবনীয় পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে সেই রাত্রিতে আমাদের সকলকে। তবে অবিস্মরণীয় সে রাতের গল্প নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সমক্ষে আর এক দিন। ততদিন ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আর অবশ্যই চোখ রাখবেন “জেলার খবর সমীক্ষায়”। জয় হিন্দ।

 

 

ক্রমশঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *