সম্পাদকীয়

দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশী সময় ধরে করোনা গোটা পৃথিবীকে এমনভাবে গ্রাস করেছে যে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্র একেবারেই বিঘ্নিত। শুধুমাত্র টীকা ভরসা করে এখনও বেঁচে আছেন কোটি কোটি মানুষ মনে অস্বাভাবিক আতঙ্ক নিয়ে। শুধুমাত্র আমাদের দেশেই দীর্ঘ দু’মাসেরও বেশী সম্পূর্ণ লকডাউন থাকার পরও সব রাজ্যে করোনার প্রকোপ যে একেবারে কমে গেছে তা নয়। সে কারণেই নানা বিধিনিষেধ এখনও মেনে চলতে হচ্ছে। এরাজ্যে বাস পরিষেবা চালু হলেও ট্রেন বা অন্যান্য যানবাহন নির্ভয়ে অবাধে যাতায়াত করার ছাড়পত্র পায়নি। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে স্কুল কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, সরকারী ও বেসরকারী চাকরীর ক্ষেত্রে। পাশাপাশি দোকান বাজার অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক, কর্মচারী,ছোটখাট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় ব্যবসায়ী সকলেই কোন না কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আবার ভিনরাজ্যের শ্রমিক কর্মচারীরাও কাজ হারিয়ে হয় নিজভূমে ফিরতে গিয়ে নানা দুর্গতির শিকার হয়েছেন।
এইরকম এক দুর্বিষহ পরিস্থিতিতেই আমাদের জীবন কাটছে অদ্ভুত এক অনিশ্চয়তায় আর তৃতীয় ঢেউ আসার আতঙ্কে, আশঙ্কায়। কিন্তু মুক্তির উপায়ও তো খুঁজতে হবে কারণ জীবন থেমে থাকে না। সেই কারণেই মানুষ এখনও চারুকলার চর্চা করছে, নতুন মাধ্যম ব্যবহার করে গান বাজনা আঁকা অভিনয় কবিতা লেখা প্রবন্ধ নিবন্ধ আবৃত্তি প্রভৃতি নানা বিনোদনের মাধ্যমে নিজেদের সুস্থ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
করোনা আমাদের কাছে বিকল্প জীবিকা ছাড়াও বহু বিকল্প পদ্ধতির ব্যবহার শিখিয়েছে। অনলাইন পদ্ধতিতে পড়াশোনায় ছাত্রছাত্রীরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে এমনকি নানা অফিসের কর্মচারীরাও ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন।
ঠিক এইরকম এক পরিস্থিতিতেই আমরা এবারের পুজোসংখ্যার বিষয় ভাবনা বেছে নিয়েছি ‘বিকল্প’। যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যার কারণে আমরা ছাপানো পুজোসংখ্যার বদলে নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করা যায় আমাদের প্রিয় পাঠক পাঠিকারা এই বিকল্প ব্যবস্থা মেনে নেবেন।
পত্রিকা কেমন হল তার মতামত আপনারা অনলাইনেই জানাতে পারবেন।
সকলকে আগাম শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানাই