August 21, 2025

মসির ধারায় অসির ধার (34)

সঞ্জীব মুখার্জী 

“You never know what kind of results may come after your action, but, if you do nothing, then there will be no result, for sure.”

~ Mahatma Gandhi

১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ সিক্কিমের ভারত-চীন সীমান্তের কর্মভূমি কুপুপ থেকে স্থায়ী ভাবে বিদায় নিয়ে দিল্লীতে আমাদের রেজিমেন্টাল হেডকোয়ার্টারে পোস্টিং নিয়ে রওনা দিলাম।  কুপুপের ব্যাটালিয়ন লোকেশন থেকে ইনকামিং এন্ড আউটগোয়িং সৈনিকদের নিয়ে প্রায় দিনই আর্মির কনভয় শিলিগুড়ি অথবা নিউ জলপাইগুড়ি যেতেই থাকে তাই আমাদেরই কনভয়েরই একটা গাড়িতে বসে নিউ জলপাইগুড়ির দিকে রওনা দিলাম। হাতে দিন পনেরোর ছুটি ছিল তাই আগে গৃহাভিমুখে চললাম।  রাস্তায় যেতে যেতে গাড়িতে বসে মোটামুটি ভাবে কি কি করতে হবে তার একটা সম্ভাব্য প্ল্যান করে নিলাম।  প্ল্যান অনুযায়ী প্রথমে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পৌঁছানো তারপর কোনোভাবে একটা রিজার্ভেশন করিয়ে নিয়ে সেখান থেকে আবার সেই দার্জিলিং মেল ধরে সাঁইথিয়া আর সেখান থেকে বাস ধরে সিউড়ী আমার বাড়ি।  বাড়িতে দিন দশ বারো একটু জমিয়ে ছুটি কাটিয়ে নিয়ে সেখান থেকে দিল্লিগামী কোনো সুপারফাস্ট ট্রেনে রিজার্ভেশন করিয়ে তাতে করে ২৮ শে সেপ্টেম্বর তারিখে দিল্লী পৌঁছানো। দিল্লীতে আমার ৩০শে সেপ্টেম্বর রিপোর্টিং তাই একটা দিন হাতে নিয়ে দিল্লী পৌঁছে যাওয়াটা সমীচীন হবে বলে আমার মনে হলো।  তারপর দিল্লীতে আমাদের অফিসে রিপোর্ট করার পর সেখানকার পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিয়ে একটা গতানুগতিক জীবনযাত্রায় ঢেলে দিয়ে কর্মজীবনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।  দিল্লীতে রিপোর্ট করার পর সেখানে একটা ফ্যামিলি কোয়ার্টার এর জন্য আবেদন করাটাও আমার আশু কর্তব্য ছিল।  দু এক মাস তো লেগে যাবে সরকারি কোয়ার্টার পেতে পেতে তাই গিয়ে গিয়েই কোয়ার্টারের আবেদনপত্রটি জমা দিতে হবে। কোয়ার্টার পেয়ে গেলে আবার কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়ে আমার স্ত্রী জবা এবং নবজাত শিশুকন্যা তৃষাকে সঙ্গে করে নিয়ে আসবো। একদিকে কর্মজীবনের নানানকাজের ব্যস্ততা অন্যদিকে পারিবারিক জীবনের দায়ীত্ব পালন এই দুটোর মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে দিল্লীতে তিনটে বছর দেখতে দেখতে কেটে যাবে। মোটামুটি এইরকমের একটা পরিকল্পনার কথা মাথায় ভাঁজতে ভাঁজতে দুপুর গড়িয়ে ১৫ই সেপ্টেম্বর তারিখের বিকাল বেলায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পৌঁছালাম।  লাগেজপত্র নিয়ে যথা সময়ে দার্জিলিং মেলে উঠে পড়লাম। পরদিন সকাল হতেই সাঁইথিয়া আর প্ল্যান মাফিক সেখান থেকে বাসে করে সিউড়ী। সবটাই নির্বিঘ্নে এবং নিরাপদেই হয়েছে। না, ঈশ্বরের কৃপায় এবারে দার্জিলিং মেলের যাত্রা কালে আগের বারের মতো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়নি।

বাড়ি পৌঁছনোর পর একটু থিতু হয়ে গিয়ে দু-একদিন পর আমার সমস্ত রকমের প্ল্যান প্রোগ্রামের কথা বাবার সাথে বসে আলোচনা করলাম। সব কিছু বিস্তারিত ভাবে শোনার পর বাবা একটু গম্ভীর ভাবে নিজের মনে চিন্তন করে নিয়ে আমায় বললেন ঠিক আছে। তারপর বাবা মাকে নিজের রুমে কিছু জরুরী আলোচনা করবেন বলে ডেকে পাঠালেন। মা রুমে এসে গেলে মায়ের উপস্থিতিতে বাবা আমায় বলতে শুরু করলেন, বললেন, “দ্যাখ শঙ্কু, এটা সেপ্টেম্বর মাস আর তৃষা এখন চার মাসের বাচ্ছা এবং নিয়ম মাফিক ভাবে চললে আগামী তিন মাসের মাথাতেই তৃষার অন্নপ্রাশন-এর অনুষ্ঠানটা সেরে ফেলতে হবে তার মানে সেটা হবে মোটামুটি ভাবে আগামী বছরের অর্থাৎ ১৯৯৭ সালের জানুয়ারী মাসের কোনো একটা দিনে।”  বাবা তারপর বললেন, “তুই তাহলে এখন দিল্লী তোদের অফিসে গিয়ে জয়েন করে নে, আমি ততদিনে আমাদের পুরোহিতকে বলে পঞ্জিকা দেখে জানুয়ারী মাসের একটা ভালো দিন দেখে অন্নপ্রাশনের দিনটা স্থির করছি আর দিনটা ফাইনাল করে করেই আমি তোকে জানাবো, তুই তাহলে সেই ভাবে ছুটি নিয়ে চলে আসবি।   ততদিনে তুই দিল্লীতে কোয়ার্টারটা পেয়ে গেলে অন্নপ্রাশনের সময় এসে জবা আর তৃষাদেরকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লী ফিরে যাবি আর এর থেকে যদি তোর কাছে অন্য কোনো বেটার অপ্শন থাকে তাহলে তুই সেটা আমায় বলতে পারিস।”  বাবার মুখে সবটা শোনার পর আমি মনে মনে ভাবলাম যে বাবা প্ল্যানটা মন্দ বলেননি। বাবার কথায় মাথা নেড়ে ইতিবাচক ভঙ্গীতে সায় দিলাম, তবুও বাবার মুখ রক্ষার্থে বললাম, “বাবা এতে তোমাদের কোনো অসুবিধা হবে না তো?”  বাবা স্মিতহাস্যে বললেন, “যদিও ছোট্ট বাচ্চা মেয়েটার সাথে সময় কাটাতে কাটাতে আর ওকে কোলে পিঠে করে মানুষ করতে করতে এই কয়েক মাসে এমন একটা আটাচমেন্ট হয়ে গেছে তাই ওকে নিয়ে গেলে আমাদের সকলের মন খারাপ অবশ্যই হয়ে যাবে কিন্তু একই সঙ্গে আমাদেরকে তোর সুবিধা অসুবিধাটাও তো দেখতে হবে, এতদিন একা একাই তো ছিলিস, আর তাছাড়া খুব বেশি মন খারাপ করলে আমি আর তোর মা দুজনে দিল্লী চলে যাবো আর তোর কোয়ার্টারে কিছুদিন থেকে আসবো, ও নিয়ে তুই একদম চিন্তা করিসনা।”  বাবার অভয়দানে আশ্বস্ত হয়েছিলাম। নির্ধারিত সময়ে দিল্লী গিয়ে সেখানে জয়েন করলাম এবং কোয়ার্টারের জন্য তৎক্ষণাৎ আবেদন পত্রও জমা দিলাম।  দিল্লী দেশের রাজধানী শহর আর অনেক বড় শহর, কত কি দেখার আছে সেখানে এবং দিল্লীর আশেপাশে তাই সবাই সেখানে পরিবার সঙ্গে করে রাখতে চায় ফলতঃ সেখানে কোয়ার্টারের চাহিদা অনেক বেশি আর সেখানে কোয়ার্টার পেতে একটু অপেক্ষাও করতে হয়।  কিন্তু সে ব্যাপারে ঈশ্বর আমার প্রতি সদয় ছিলেন। কেননা আমাদের রেজিমেন্টাল হেডকোয়ার্টারের একটা নিয়ম আছে যে যদি কেউ সরাসরি আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী এলাকা অথবা হাই অল্টিটিউড এলাকা থেকে আসে তাহলে তার কোয়ার্টারের আবেদনপত্রকে ৬ মাসের পূর্বের তারিখে জমা পড়ার মর্যাদা দিয়ে তাকে বিবেচনা করা হয় এবং সেটা আমার ক্ষেত্রে আমার অনুকূল্যেই হয়। দুই মাসের মধ্যেই আমি সেখানে কোয়ার্টার পেয়ে যাই।  পূর্ব পরিকল্পনা মতো ১৯৯৭ সালের জানুয়ারী মাসে দিন ১৫র ছুটি নিয়ে মেয়ের অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান সেরে স্ত্রী কন্যা সহ দিল্লী ফিরে আসি। কিছুদিনের মধ্যে সেখানে একটা স্বাভাবিক দৈনিন্দিন জীবনযাত্রার মধ্যে দিয়ে কাটতে থাকে। এর মধ্যে বাবা মা ও তাদের মন খারাপ করলে বার দুই তিন আমাদের কাছে থেকে ঘুরে গেলেন। দুর্গাপুজোর সময় অথবা বাড়িতে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান থাকলে আমরাও বাড়ি গিয়ে ঘুরে আসি।

এই ভাবে দেখতে দেখতে একটা সাদামাটা জীবনের মধ্যে দিয়ে একটা সুদীর্ঘ সময় কি ভাবে যে কেটে যায় সেটা বুঝতেও পারিনি। সময়ের চাকাটাও ঘুরতে ঘুরতে ১৯৯৭ ছাড়িয়ে ১৯৯৮ প্রবেশ করলো। জীবনও তার নিজের ছন্দে ও গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। আমাদের রেজিমেন্টাল হেডকোয়ার্টার থেকে প্রতি বছর নতুন সৈনিকদের ব্যাচ তাদের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করে শপথ গ্রহণ করে “পাশ আউট” হয়ে আমাদের রেজিমেন্টেরই বিভিন্ন ব্যাটালিয়নে ছড়িয়ে পরে। সদ্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সমস্ত সৈনিকদের শপথ গ্রহণ এবং পাসিং আউট একটা বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয় আর এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় স্বয়ং রেজিমেন্টাল হেডকোয়ার্টারের প্রধান আধিকারিক এক ব্রিগেডিয়ার সাহেবের উপস্থিতিতে। এটা শুধু আমাদের রেজিমেন্টেরই নিয়ম নয়, ইন্ডিয়ান আর্মিতে যতগুলো রেজিমেন্ট তাদের প্রতিটিতেই এই একই নিয়ম অনুসরণ করা হয়। কিন্তু ১৯৯৮ সালের ব্যাচের নতুন সৈনিকদের ক্ষেত্রে সেই অনুষ্ঠানটি হলো একটি অনেক বড়সর গোছের সমারোহের মধ্যে দিয়ে। শুনতে পেলাম সেবারের সৈনিক ব্যাচের শপথ গ্রহণ এবং পাসিং আউট প্যারেড করাবেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে যে ব্যক্তিটি তিনি আমাদের দেশের তদানীন্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী মোলায়েম সিং যাদব। সত্যিই এই দিনটি তো সেই ব্যাচের সমস্ত সৈনিকদের কাছে চিরজীবনের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন বলেই পরিগণিত হবে। আজকের বর্তমান কালের রাজনীতির স্তরে যেমন Minister, MP, MLA, ইত্যাদিদের কথায় কথায় দেখতে পাওয়া যায় এমনকি মুখোমুখিও হওয়া যায় সেই সময়ে কিন্তু এঁদের চাক্ষুষ দর্শনলাভ সুলভে হতোইনা বলা চলে তাই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সশরীরে পরিদর্শন করতে আসাটা আমাদের সকলের কাছে বিশাল একটা দুর্লভ ব্যাপার ছিল, গর্বের ও বিষয় ছিল।   আগে থেকেই ঠিক ছিল নতুন ব্যাচের সৈনিকদের শপথ গ্রহণ সমারোহের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আমাদের রেজিমেন্টাল হেডকোয়ার্টারের অফিস পরিদর্শন করবেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আসবেন বলে কথা তাই আমাদের অফিসের প্রতিটি সেক্শনে সাজ সাজ রব পরে গেলো, অফিসটাকে নব বধূর সাজে সজ্জিত করতে হবে তো। আর তিনি শুধু আসবেন না এসে তিনি আমাদের অফিসের প্রতিটি সদস্যের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বাক্যালাপ করবেন। সত্যিই সে এক আলাদাই অভিজ্ঞতা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর আগমনী বার্তায় সমগ্র রেজিমেন্টাল হেডকোয়ার্টার সেজে উঠলো এক নতুন রূপে। চারিদিক ঝকঝক তকতক করছে।  এমনিতেই যেকোনো মিলিটারি এরিয়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্নই থাকে, কিন্তু এ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা যেন ঐশ্বরিক।  আর আর্মি এরিয়া হওয়ার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা তো এমনিতে প্রচন্ড কড়া থাকে, সেদিন সেই ব্যবস্থাকে আরো কড়া করে দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত দিনে এবং সঠিক সময়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কাফেলা এসে দাঁড়ালো এবং অনুষ্ঠানের সূচি মতো শপথ গ্রহণ সমারোহের পর উনি আসলেন সোজা আমাদের অফিসে। সেখানেই চা জলখাবার খেতে খেতে শ্রী মোলায়েম সিং আমাদের সকলের সঙ্গে কথা বলবেন। কার্যতঃ হলোও তাই, আমাদের প্রত্যেককে এক এক করে কোনো না কোনো ধরণের দু চারটে করে প্রশ্ন করেন আর তার সঙ্গে কোনো সুবিধা অসুবিধার কথাও জিজ্ঞেস করেন। সত্যিই সেই দিনটা আমাদের সকলের কাছে এমন একটি বিশেষ দিন যার কথা আমি বা সেদিনের উপস্থিত আমরা সকলে কেউ কোনোদিন ভুলতে পারবো না বা ভোলা উচিৎও নয়।

সময় আরো একটা বছর পার হয়ে গেলো।  সালটাও ১৯৯৮ ছাড়িয়ে ১৯৯৯ তে প্রবেশ করে ফেলেছে।  সময়টা তখন ১৯৯৯ সালের জানুয়ারী মাস চলছে।  সবে আমাদের রেজিমেন্টাল হেডকোয়ার্টার নববর্ষের উৎসব পালন করে তার রেশ কাটিয়ে উঠছে। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী সেই বছরের শেষের দিকে দিল্লীতে রেজিমেন্টাল হেডকোয়ার্টারে আমার পোস্টিং-এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার কথা এবং সেই নিয়মানুযায়ী সেই বছরের অর্থাৎ ১৯৯৯ সালের শেষ দিকে অথবা ২০০০ সালের প্রথম দিকে দিল্লী থেকে আমার নিঃজস্ব ব্যাটালিয়নে ফিরে যাবার কথা। ব্যাটালিয়নে ফিরে যাওয়ার সময় আমাকে আবার জবা এবং তৃষাকে আমাদের বাড়িতে রেখে আসতে হবে। তৃষা ততদিনে একটু বড় হয়ে উঠছিলো। যখন আমি দিল্লী ছেড়ে আমার ব্যাটালিয়নে যাবো তখন আমার ব্যাটালিয়ন দেশের কোন প্রান্তে থাকবে। ব্যাটালিয়ন যদি কোনো ভালো শহরে থাকে তাহলে সেখানে জবা এবং তৃষাদের আমার সাথেই রাখা যাবে অন্যথা বাড়িতেই রেখে আসতে হবে। পরিকল্পনার এইসব টুকরো টুকরো জট থেকে থেকে মনের মধ্যে উঁকি দিতে শুরু করেছে ততদিনে। কিন্তু কথায় বলে না, মানুষ ভাবে এক আর হয় এক। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই যে আমায় দিল্লী ছেড়ে আমার নিঃজস্ব ব্যাটালিয়নে এক জরুরী অবস্থার ভিত্তিতে আমাকে রিপোর্ট করতে হবে তার কল্পনা সেদিন আমি স্বপ্নেও করতে পারিনি।  আর তার সঙ্গে এটাও আমি কল্পনা করতে পারিনি যে অদূর ভবিষ্যতেই আমার জীবনে সৈনিক জীবনের শ্রেষ্ঠতম সময়টা আসতে চলেছে, যে সময়ের প্রাপ্তি যে কোনো সৈনিকের কাছে প্রকৃতই এক পরম সৌভাগ্যের বিষয়। সেই পরম গৌরবমন্ডিত এবং ঐতিহ্যমন্ডিত সর্বোত্তম সময়টি আমার জীবনের দোরগোড়ায় কখন যে অজান্তে, চুপিসারে এসে দাঁড়িয়েছে আমার দরোজায় কড়াঘাত দেওয়ার জন্য তার টের সত্যিই সেদিন আমি ঘুণাক্ষরেও পাইনি। যদিও এইধরণের সময় সৈনিকদের কাছে তাদের জীবনের একটি গৌরবমন্ডিত এবং ঐতিহ্যমন্ডিত অধ্যায় হলেও সাধারণ অসামরিক মানুষদের কাছে এক রোমহর্ষক এবং হাড় হিম করা ঘটনা ছাড়া আর কিছু না। তাই একটু অপেক্ষা করুন সেই অকল্পনীয় ঘটনার কথা শোনার জন্য।  খুব তাড়াতাড়িই ফিরে আসবো আপনাদের কাছে সেই গল্প নিয়ে। ততদিন আপনাদের কৌতূহলের শিখা প্রজ্জ্বলিত রেখে আপনারা সকলে কুশলে থাকবেন, সুরক্ষিত থাকবেন, আর অবশ্যই পড়তে থাকবেন “জেলার খবর সমীক্ষা”।  জয় হিন্দ।

ক্রমশঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *