একদন্ত
জহর চট্টোপাধ্যায়
গণেশের দুটি দাঁতের একটি ভাঙ্গা বলে তাকে একদন্ত বলা হয় । কেন এই দাঁতটি ভাঙলো তা নিয়ে তিনটি কাহিনী আছে। একটি কাহিনীতে পরশুরামের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে গণেশের দাঁত ভাঙ্গা যায়। পরশুরামের কুঠারের আঘাতে গণেশের ডানদিকের দাঁতটি ভাঙ্গা পরে। অন্য আরেকটি কাহিনী মহাঋষি বেদব্যাস মহাকাব্য মহাভারত লেখার জন্য গণেশ কে অনুরোধ করলে গণেশ নিজের দাঁত ভেঙে কলম বানিয়ে মহাভারত লিখতে শুরু করেন। এই দুটি কাহিনী ছাড়াও গণেশের একদন্ত হওয়ার আরও একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। সেই কাহিনীটি রইল কবিতায় –
গণেশ দাদা নাদুস-নুদুস
পেটখানা তার জালা,
চারটি হাতে মুখে তোলে
মিঠাই থালা থালা।
খেতে খেতে দিন গড়ালো
ঘনিয়ে এল রাত,
পেটের ভারে গণেশ দাদা
হলেন কুপকাৎ।
আকাশ থেকে চাঁদ তা দেখে
ফিক করে দেয় হেসে,
রাগের মাথায়, দাঁতটি ভেঙ্গে
ছুড়ল গণেশ কষে।
সেদিন থেকে গণেশ দাদার
নাম হল একদন্ত,
রাগ কমলে লক্ষ্মী ভীষণ –
এক্কেবারে শান্ত।