কালুকের ডায়েরি – প্রথম পর্ব
আংশুমান সরকার : কালুকের কথা প্রথম অধ্যাপক বন্ধু চিন্ময়ই বলেছিল। তোরজোড় শুরু হয়েছিল সেই অগাস্ট মাস থেকে। বড়দিনের ছুটিতে বেড়াতে গেলে একটু আগে থেকেই প্ল্যান করতে হয়, তাই পুজোর অনেক আগেই উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে নিউ জলপাইগুড়ির টিকিট কাটা হয়ে গেছিল। কিন্তু তখনও PQWL (Pooled Quota Waiting List) এর মানে জানতাম না। পুজোর কিছুদিন পরেও Status Update হচ্ছে না দেখে কেমন যেন সন্দেহ হল।
IRCTC check করে জানলাম যে এই quota র টিকিট confirm হবার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তাই সকলে মিলে যুক্তি করে, একদিন আগের মানে ২২শে ডিসেম্বর শতাব্দী এক্সপ্রেসের টিকিট কাটলাম। সকলে মানে আমরা পাঁচ বন্ধু ও আমাদের পরিবার। সব মিলিয়ে পনের জনের দল। তখনও জানতাম না যে আমাদের একমাত্র bachelor বন্ধু ভাস্কর ও শেষে জুটবে আমাদের সঙ্গে। আমাদের দলের সিধুজ্যাঠা হল স্বরাজ।
ও খবর নিয়ে জানালো যে এই সময় মানে ডিসেম্বর এর শেষে শতাব্দী এক/দুই ঘণ্টা দেরি করে NJP পৌছয়। এমনিতেই scheduled arrival রাত ১০.৩০। তার উপর দেরি করলে যে কি করে হোটেলে ঢুকবো তাই ভাবছি। প্রদীপ আর বিপ্লবের যথেষ্ট আপত্তি retiring room এ থাকায়, কারন শীতের রাত – ঠিকঠাক থাকার জায়গা না হলে বাচ্চাদের নিয়ে কি করব? প্রদীপ তো বলেই ফেলল – ‘শেষে প্লাটফর্ম এ থাকতে হবে’। শেষ পর্যন্ত দেখি স্বরাজ NJP station এর retiring room আর dormitory র ছবি জোগাড় করে আমাদের Whatsapp group এ পাঠিয়েছে। মনে সংশয় নিয়ে যখন রাত ১২.৩০ এ NJP পৌঁছলাম তখনও ভাবতে পারিনি যে retiring room এর ব্যবস্থা এত ভালো হতে পারে। আমরা online booking করেছিলাম IRCTC র website থেকে। আমরা দুটো double bed room আর dormitory তে চারটে বিছানা পেয়েছিলাম। গিয়ে বুঝলাম যে online booking না করলে কিছুই পাওয়া যেত না। ভাড়া নামমাত্র। ঘরে গিজার থাকায় গ্রম জলের কোন অসুবিধা হয় নি। যেটাতে সবচেয়ে বেশি হতাশ হলাম সেটা হল – একদম ঠাণ্ডা না পাওয়া। প্রায় কলকাতার মতোই তাপমাত্রা মনে হচ্ছিল। যাই হোক, ঠিক ছিল যে পরের দিন মানে ২৩শে ডিসেম্বর সকাল সকাল রওনা দেব। আমাদের ঘর বুক করা ছিল কালুকের Mandarin Village Resort এ। অনেক খবর নিয়ে Net search করে তবে এই জায়গাটি পছন্দ করেছি আমরা। আর যারা সাহায্য করেছিলেন তারা হলেন এই Group (Weekend Tours from Kolkata) এর সদস্যরা। যাই হোক, তাড়াতাড়ি বের হতে পারলাম না। কারন ভাস্কর এল রাতের দার্জিলিং মেল এ, এবং প্রায় দু ঘণ্টা দেরিতে। তাই বের হতে প্রায় বেলা এগারটা বেজে গেল।
– Angshuman Sarkar
লেখা পড়ে ভালো লাগলো … যাবার ইচ্ছে রইল